দৃশ্যত তোমার নীল পাহাড়খানি
ফুলে ফুলে ভরা ছিল, কেয়া পাতার
জানালায় কাডলিংরত আমরা ভাবতাম
আর কত মাংস জমলে পাহাড়ের মত পাহাড় হবে,
দূর দূরান্ত পথে গজিয়ে উঠবে
কফ ও কফির মেঘ, মিঠে রক্তের ঝোরায়
বসন্ত হয়ে উঠবে মনোরম...
নয়খানি শিকারি কুকুরে টানা জগৎ ছুটেছে;
তুমি আমি তার পিছে।
তোমার দুলন্ত নীল পাহাড় সেঁটে আছে পিঠে।
তোমার বাড়ির তলে ঘর ভাঙে,
স্তব ঝেড়ে ওঠে লালাময় রোদ, নিরন্ন লিরিকের ছাদে
মসীহার মত বাড়তে থাকে ভালোবাসা।
কয়েক যোজন গন্ধে ছড়িয়ে থাকা
এইসমস্ত দৃশ্য বাল্যকালের মত
সাবালক হয়ে ওঠে।
এই যে নখের মত গলি, ঘুরে ঘুরে শেষ হয় স্তনের শহরে,
এসবই তো পাঁয়তাড়া;
সন্ন্যাস ভোজনে যাবার উপবৃত্তাকার পথ।
অলৌকিক কাঠখড় পুড়ে যায়
প্রেয়সী ও বিছানার।
ট্রপিকাল জাহাজ, গল্পে শুনেছি।
সুনয়ন দোষে তাও পথ ভুল হয়ে গেল; যাকে অমোঘ বলে।
পরিধান খুলে রাখা ছিল, সিনাভরা সপাৎ সপাৎ ছিল;
আটখানি কার্নিভালে এই লেহন, এই গুরুভার সোনামুখে বসে,
এই ভরন্ত সেন্ট্রিফিউজে বসে,
শবাসনা তুমি, তুমি, তোমার শান্ত আসে
আর আমি নাই ঘেঁটে প্রতিবার নিয়ে আসি
একমুখ দুধ। তুমি খাবে, বড় হবে,
এত বড় যাতে আর দরোজা দেখা না যায়।
আসলা প্রকৃতি, দেহ, মনে ঘড়ি ন্যায় খুলে আসে
যেন উলের সমান মৃদু ঝিংকার নাগরিক বিছের মত
হ্যাল খায় শরীরে তোমার।
গন্ধ শুঁকতে শুঁকতে প্রাচীন মালিকানা, বহু বহু দূরবীণ দূরে
আমাদের খোলা মাঠ। জোনাকি বিস্তৃতি।
ঈর্ষান্বিত পায়ুর মত দেখায়।
মেয়েদের লংমার্চ, ছবি করে রাখা থাকে
তোমার দেওয়ালে।
মায়ার রুমাল ফেলে দেওয়ার কোন অভিসন্ধি ছিল নাতো...
তাই এই চোত বোশেখ জুড়ে হালকা মালাই, মিঠে নদী।
এমন হাওয়া... প্রাণ ভরে যেন মসী লেপে গেল,
ডাকিনী সংলাপখানি শুধু প্রবল ডেকে উঠল মোরগে মোরগে...
যেন দুরন্ত কনিষ্ক এক এতদিন বসেছিল,
তুমি এসে তাকে চিলেকোঠা দেখাতে নিয়ে যাবে বলে।
আমাকে বলোনা শুধু।
শ্রমণ শুয়ে আছে।
মুকুলমাধব তার নুনুখানি পড়ে আছে পাশে
এই তো পথের শেষ,
গম্ভীরা উঠবে তোমার নোলকে,
তোমার বাকল বাকল গা
ছড়িয়ে পড়বে সামান্য চড়ায়
মন খুব ঝিম মেরে আছে
নুনুখানি পাশে, মুকুলমাধব হয়ে ফুটে,
কবে পথ শেষ হবে তার কথা বলে।
নোলক প্রকাশ পায় গম্ভীরা তালে...
তোমার কোলের মত আধবয়েসী,
তোমার গায়ের মত বাকল,
বুক জুড়ে চড়া ফেলে আছে।
পাহাড়ের মত জেগে ওঠো
তুমি এই সব দৃশ্য দেখে, যেন
পৃথিবীর কারুকার্য কম পড়ে যাচ্ছে,
কম পড়ে যাচ্ছে প্রসবন...
ইয়ে গো, বিনোদ মাছের মত নিভিয়ে দিও
বিনীত চরণ। তোমার গালের ওই বিছেমি,
আদুল নরুন, শতফুল ফুটে আছে
কত সাধে নেমে আসে বল দেখি
দিনের বোতাম...
ফিরে আসা ঝেড়ে দিয়েছিল পোষাকের
ক্ষোভ থেকে। তার দোয়া, ক্রোধ
ও সাকিন মেখেই বেড়াই।
একটি নিকষ তো বেঁচেছিল বলো,
ছাপ মারা গ্রহাবর্তনও।
আর আসেনা
তোমার পিঠের দাগে আসীন নসিয়া।
নীরববর্ম আছে,
পরম শেকল, রাধে
তোমাকে ক্লোন করি কেমনে বলো?
সে ধন্য ত্বক, উপাচারের ত্বরিত আলাপ
আমাকে নিরন্ন হতে উৎসাহ দেয়...
ভেঙে যাচ্ছে চুল চুঁইয়ে নামা প্রতিবাদগুলি
নবাবী বৃষ্টিদের ছোঁয়া মাটির দাগের মত
আটকে ফেলে তোমার পা
আর দ্যাখো, এসব ছাপ আসলে
চিরকাল চেয়েছিল তোমার পায়ে লেপ্টে থাকতে।
তুমি শুধু বুঝতে পারোনি, যে একেই পথ বলে ডাকে
এই যে প্রতিটা ঋণ নামে, মেলানো পয়গম্বর
মাতাল রোদের মত মায়ের উজান আসে,
তা তো তোমার শীতগুলো বাঁচিয়ে তুলেছে আবার?
এবার পথিক হও,
মায়ার বিমান থেকে দেখা দাও, আনত শহর জুড়ে।
বাহ! অনেক ভালো শব্দধারা
ReplyDeleteবেশ ভালো লাগল
ReplyDeleteপ্রতিটি লেখায় একটা শিকড়ের টান পেলাম যা জীবনের অনেক গভীরে চলে যায়
ReplyDeleteবেশ ঝকঝকে কবিতাগুচ্ছ পড়লাম। শব্দের কারুকাজ অনুপম। ভালো লেগেছে ভাবনা বিস্তারও। অন্তহীন শুভেচ্ছা কবিকে।
ReplyDeleteঅসম্ভব সুন্দর ও কুশলী শব্দব্যবহার। "খানি", "তলে"র মত আপাত-প্রাচীন উচ্চারণভঙ্গিমার পাশাপাশি একেবারে ঝকঝকে আরবান শব্দপ্রয়োগের সাহসে এক অনায়াস টানাপোড়েনের বয়ন ও বয়ান ফুটেছে।
ReplyDeleteএই কবিতা পরা আর শীতকালে খেজুরগাছের হাওয়া গায়ে লাগানো একই ব্যাপার আর ভোরের খেজুররস সিপিং ..……
ReplyDeleteএই কবিতা পরা আর শীতকালে খেজুরগাছের হাওয়া গায়ে লাগানো একই ব্যাপার আর ভোরের খেজুররস সিপিং ..……
ReplyDeleteনাম হিন ১ কবিতা টি খুব ভালো লাগলো।
ReplyDelete