যতবার নিমগাছের কায়দায় টেম্পটেড করি
ভালো লাগে ডালপালা জাতীয় ইমোশন
বোধহয় এই দোস্তি কোনোদিন তাকানো ভুলবে
না,
হঠাৎ খুলে ফেলা তোমাকে
তোমার শশীকলাগুলিকে
প্রসন্ন শীতগ্রীষ্মকে
মধ্যরাতে ডেকে তুলবে, নানাদাগের
বিচ্ছেদ ও বিরাম
পাখি আকাশ মোছার দূরত্ব
এনে বলবে এই হল চাহিদার শিমূল, ন্যাপথলিনের
সাদা থোকা
অভ্যেস পেরিয়ে ততক্ষণে সঞ্চারিত এসে
গেছে
আমাদের আচরণগুলো মনিটরে সেলাই হচ্ছে
নাভি রঙের নিজস্ব ভালোলাগা তোমার
সর্বাঙ্গে
ছিপছিপে এক মরশুম ফুটে উঠল স্ক্রিনে
হালকা অথচ ধারালো সেই তেপান্তর...
আওয়াজ
চকলেট ফুটলে তখন সকাল
একটু দেরিতে হলেও
সর্বস্ব স্নেহ হয়ে মিশে
যাচ্ছে
কিতকিতবয়সী অপূর্বতা
খোলামাঠ পেরিয়ে
নেভিব্লু রঙের বীজ বয়ে আনে
পাখিদের রোলকল
সংসার দিয়ে বানানো একটা অরুণাভা
মা আর ছেলের অধিবেশন
সেমিকোলন ভর্তি দানা দানা আদর
আলাদা রেখেছি আজ
হাসির প্রিন্ট আউট
তিলে তিলে জমে ওঠা চুমু দিয়ে
চকলেট তুলে নিচ্ছে ঠোঁট...
ইন্টারভ্যাল
শেষপর্যন্ত চাঁদের আওয়াজ অতিক্রম করে
পিয়ানোর প্রান্তসীমা
বেজে উঠছে ... যেন ফুঁ দিচ্ছে জড়তাকে
... ভাবনাচিন্তার বাদাম
দাঁতের সংস্পর্শে খোসা ছাড়িয়ে নিচ্ছে
একটি বিকেলের মোড়...
তারপর তোমার হাসির দিকে ... প্রজাপতি
উড়ে যায় এমন সব
লোকগান... আমগাছ... দুপাশে অস্তিত্বের
কৌতুকসমেত খেলা...
সেইসব গাঢ় রক্তপাত গড়িয়ে নামলে আমাকে
ডেকো না...
দেশকাল, ক্যাম্পফায়ারের স্বপ্নহীন কর্মশালা আমার আসেনা কিছু আর...
নিমগাছের আদবকায়দায় ভরা দোস্তি মাখানো নাভি রঙের শীতগ্রীষ্ম আলকাতরার পেখম মেলতে মেলতে নে ভি ব্লু-তে এসে ঠেকল!!! ন্যাপথলিনের সাদা অভ্যেস সর্বাঙ্গ মরশুম দিয়েও কিত্ কিত্ আর সেমিকোলন না সামলে সেই চাঁদের আওয়াজ অতিক্রম করে কিভাবে যে চুমু হয়ে গেল!! ইন্টারভ্যালে (নাকি ইন্টারফেজে) এসে???
ReplyDeleteআমি ভাবলেও অবাক হচ্ছি— দ্বিতীয় ইনিংসে এসে কি ট্রিপলগুলো এভাবে কাটারি দিয়ে দেবে!!!!!!!!
Anekdin pare tomar kabita porlam. Ranar sange ekmat.
ReplyDeleteShikharda
প্রতিটা লেখাই ...দারুণ লেগেছে
ReplyDeleteআওয়াজ সবথেকে ভালো লেগেছে।
ReplyDeleteবাকি গুলো দারুন ভিতরে খেলছিল
বারেও বিশ্বরূপ দে সরকারের কবিতায় পাঠক সমাগম সবচেয়ে বেশি হচ্ছে। নয়ের দশকের এই কবি শুরু করেছিলেন এক অন্য ঘরাণায়। তখন ওঁর কবিতা 'দেশ'-এ দেখা যেত। ওঁকে দেখা যেত জয় গোস্বামীর পাশে। তখন ওঁর কবিতাভাবনা অন্যরকম ছিল। তারপর একটা বিরতি নিয়েছিলেন। এবং যেমন আমাদের এখানে হয়, সকলেই ধরে নিয়েছিল কবি হিসেবে বিশ্বরূপ ফুরিয়ে গেলেন। একটি পত্রিকার সম্পাদক হিসেবেই লোকে ওঁকে চিনতে ও বুঝতে শুরু করল। ঘটনা হল, বিশ্বরূপ দে সরকার আবার ফিরে এলেন।.২০১৫-র শুরুতেই দেখা গেল, আগের কবিতা ভাবনার প্রতি ওঁর আর তেমন কোনো টান নেই। বরং বাংলা কবিতায় যারা একেবারে অন্যরকম কাজ করছেন, উনি তাঁদের প্রতিই এখন উৎসুক। দেখা গেল, উনি একেবারেই অন্যরকম কবিতা লিখতে শুরু করেছেন। সেগুলো কি নতুন কবিতা? Barin Ghosal সেটা বলতে পারবেন। সেগুলো কি পোস্টমডার্ন কবিতা? সেটা একজন মলয় রায়চৌধুরী বলতে পারবেন। আমরা শুধু দেখতে পাচ্ছি বিশ্বরূপ দে সরকার-এর কলমে নব্বই দশকের কবিতা এক চমৎকার এবং কুশল মোড় নিচ্ছে, যেখানে সো কলড মূলধারা এবং সো কলড সমান্তরাল কবিতা এক হয়ে যাচ্ছে। এটা কি এই সময়ের কবিতা? সেটা তো পাঠকই বলবেন। এবং পাঠক তো বলছেন, এবারের 'বাক'-এ পাঠকই সেটা বলছেন।
ReplyDeleteDarun sob lekha....shabdake kivabe nikhepon korte hoy ..... Kivabe ta bahumatrikatar shiri vangbe......kivabe chena chander duloni na kheye r ekvabe ullas ....sabi japone....kingba bodher dharapate....
ReplyDelete