Friday, November 20, 2015
মুঠোফোনে ব্যস্ত আধুনিকা, চেয়ারে উপবিষ্ট এই নারীটির দেহসম্পদ শাড়ী ভেদ করে দৃশ্যমান।
ছাদ থেকে ঝোলানো আলো সময়কাল বিবৃতি করে। দেওয়ালে উপস্থিত প্রতিকৃতি ধন্দে ফেলে ...
এটি প্রেমালাপ না পরকীয়া !!! অ্যাক্রিলিকে আঁকা ২০০৬ সালের এই ছবিটি দ্বিধা-দ্বন্দ
নিয়েও বেশ মজাদার বটে।
ইতিহাস বরাবর বিজেতাকে নিয়ে লেখা
হয়ে থাকে। তাই পৌরাণিক রামায়ণের ইন্দ্রজিতের অন্যায় হত্যা সমাজকে খুব বেশি আবেগিত
করে না। আর তাঁর পিতার (রামায়ণের মূল খলনায়ক) চোখের জল, মনের যন্ত্রণার মূল্য সমাজ পুরোপুরি উপেক্ষা করে। আদি কবির সৃষ্ট
এই কাব্যে উপেক্ষিত রাবণ ... কিন্তু আধুনিক কবি বা শিল্পী তাদের নির্মাণে এই ভুলটি
করেন না। তাই রাবণের অশ্রু আর রক্তমাখা পরস্পর আবদ্ধ আঙ্গুলগুলি ঋদ্ধ হয় শিল্পীর
তুলিতে।
খাদ্য আর খাদকের চিরন্তন সম্পর্ক
যদি বদলে যায়, খাদ্য যদি হয়ে ওঠে পরম পোষ্য...
ছবিটা তাহলে কেমন হয় ? ছবিতে যে
ব্যক্তিটি দৃশ্যমান তাঁর পোষাক এবং টুপি
চিহ্নিত করে নির্দিষ্ট ধর্মের প্রতি তাঁর অনুগত ... আতংক আর বেদনা মিশ্রিত
কৌতূহলী মুখ এক ধরণের সংকটের আভাস দেয়। দুইহাতের বাহুবন্ধনে তিনি তাঁর পোষ্যকে এই
নিষ্ঠুর সামাজিক অবস্থান থেকে যে কোনো মূল্যেই রক্ষা করবেন এই ঈঙ্গিত দেয় ছবিটি।
এইরকম তীর্যক সৃষ্টি কেবলমাত্র পরিতোষ সেনের তুলিতেই সম্ভব।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment