Friday, November 20, 2015
মাছের চোখ
মাছের
চোখে জল দেখে নি কেউ
মাছের
চোখ জল দেখে অপলক
অ্যাকোরিয়ামের
নীলে সমুদ্র নেই
সমুদ্রের
নীলে বড় নুন
নোনা
ইলিশের থেকে সাঁতার শিখেছে ঢেউ
জল
অচল ঘরে ছটফট ছটফট- জিয়া লাগে না...
তরী
পার করে দে বাপ্ এযাত্রা
যেতে
হবে, যেতেই হবে ওপারে
এপারের
ফুটো কড়ি নিয়ে দিল্ ভরে না মোর
আহা
দিল্ - জান্ - লে লে ওপরওলা
সমুদ্র
ভ্রমণের নীল ছাতা, রোদ চশমার গলি দিয়ে
রোদ
পোয়ানোর বেলা যায়, বেলা যায় রে...
আহা,
এমন সোনার রোদ আমাদের দেশে নেই ক্যান্
আয়
আয় রোদ মাখি
গায়ের
ছ্যাতলা – যা যা...
যা
রে পাখি, যা দূর হট্
উজবুক
পাখি- অ্যালবাট্রস
মাছরাঙার
ঠোঁট লক্ষ্য করে ডুব দে
ডুব
সাঁতার শেখা দরকার প্রতিটি নীল তিমির
তিমির
রাত্রির কথা থাক এ যাত্রা
এক
যাত্রায় আজ পৃথক ফল
তুমি
জল দাও গাছে, ফলের আশা কর না
গেট
থেকে খুলে ফেল মাধবীলতার ঝাড়
গোলাপের
বেড কর, আর চন্দ্রমল্লিকা -
আপেলের
কাছে বন্ধক রেখো স্নান
ক্যালসিয়াম
ক্যালসিয়াম হেঁকে
হাড়
শক্ত হলে দধীচির কাছে যেও
কঠিন
দিন এলে আখরোট গুঁড়িয়ে নেয় হাতুড়ি
ভাঙা
খোলার স্তুপে মড়মড় করে পথ চলে পা
পায়ের
কড়ায় দিল্ খুলে গান করে কে যেন...
এই
পথ যদি না শেষ হয়, তবে কেমন হত তুমি বল
তুমি
তুমি বলা রোগ এক ভীষণ , এত তুমিদের ভিড়ে আমি কই
সেই
একলা আমির থেকে দূরে সরে গিয়ে
ভিন্ন
আমি বেঁচে আছে, বর্তে গেছে।
ভরণ
পোষণের দায় পিষে চলেছে বাটনা
শিলনোড়া
নেই বলে মিক্সারের ঘূর্ণন...
আহ্,
এত শব্দ করে বেজো না- নিঃশব্দ হও
চুপ্,
একদম চুপ –
টুঁ
শব্দে ছিড়ে যাবে টুঁটি
মুন্ডুহীন
ধরের কাঁধে চেপে দেবী চলেছেন ভাসানে
তৃতীয়
নয়ন খুলে খুলে যায়
বিষ-অর্জন
হলে তুফান উঠল পেয়ালায়
তর্কে
ভেঙে গেল দু একটা কাপ
হাতল
ভাঙা কাপে চা ছিল না
ছড়ি
ঘোরানো শেষে ব্ল্যাকবোর্ড মুছে দিল ডাস্টার
নতুন
সেসানে এবার নো অ্যাডমিশান
আল্লারাখা
ছেড়ে আলখাল্লায় ডুব দিয়েছে মন
ডুব
দে মা কালী বলেছিল সনাতন
হিজাবে
মুখ ঢেকে চলেছে ছায়ার মত কেউ
পিছু
নিয়েছে আরও লক্ষ কোটি ছায়া
ছায়ারও
ছায়া থাকে? নাকি ছিল?
প্রশ্নের
পিছু নেয় ছায়ার মত কেউ
কেউ
কেউ ঘুমের কাছে যায়
কাছে
গিয়ে ফিরে আসে ফের
ফেরার
পথে পিছনে তাকিয়ে কেঁদে নেয় খানিক
আহা-
কেঁদে নাও সোনার মানিক
কান্না
যে বড় প্রিয় সখী মোর
একটু
কান্নার সাথে খুনসুটি হোক
একটু
প্রেমের রিহার্সাল
অভিনয়ে
মেতে যাক পাড়া
এবার
কিছু সিরিয়াস কাব্য এসো
গভীরতা
দিও গো প্রভু-
এই
ইতর কুলের ডেপ্থ কবে হবে!
ভারী
ভারী শব্দে কবির বিস্তারে
ডানা
গজিয়ে উঠুক
নিদেনপক্ষে
একখান আকাদেমি
লা
জবাব লা জবাব
কবির
মৃদুভাষ
কবির
চুম্বন
কবির
পদাঘাত -
এইবার
পেছনে বাঁশ গুজে দিও প্রভু
এ
যাত্রা উদ্ধার হই
কাঁটা
বাছা হলে মাছ খাবে
আলো
গিলবে চোঁচোঁ
জগৎসংসার
ক্ষীর খাবে
মাছের
চোখ দেখবে কেউ
তীর
বিঁধে মরে যাবে ঢেউ অ-লক্ষ্যের
এখানে
কবি নয় কেউ, দেবীও থাকে না
এখানে
মানুষ থাকে, কেউ বলে নি?
মানুষের
আলোমাখা অন্ধকার
অন্ধকারের
আলো পাশাপাশি থাকে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
শেষ চারটে লাইন অসাধারণ !
ReplyDeleteঅনবদ্য! মাছের চোখ যেন, কবি ও কবিতার মাঝামাঝি ভরকেন্দ্র।
ReplyDeleteঅনন্য দীর্ঘ কবিতা মাছের চোখ।
ReplyDelete