• কবিতা সুর্মা


    কবি কবিতা আর কবিতার কাজল-লতা জুড়ে যে আলো-অন্ধকার তার নিজস্ব পুনর্লিখন।


    সম্পাদনায় - উমাপদ কর
  • সাক্ষাৎকার


    এই বিভাগে পাবেন এক বা একাধিক কবির সাক্ষাৎকার। নিয়েছেন আরেক কবি, বা কবিতার মগ্ন পাঠক। বাঁধাগতের বাইরে কিছু কথাবার্তা, যা চিন্তাভাবনার দিগন্তকে ফুটো করে দিতে চায়।


    সম্পাদনায়ঃ মৃগাঙ্কশেখর গঙ্গোপাধ্যায়
  • গল্পনা


    গল্প নয়। গল্পের সংজ্ঞাকে প্রশ্ন করতে চায় এই বিভাগ। প্রতিটি সংখ্যায় আপনারা পাবেন এমন এক পাঠবস্তু, যা প্রচলিতকে থামিয়ে দেয়, এবং নতুনের পথ দেখিয়ে দেয়।


    সম্পাদনায়ঃ অর্ক চট্টোপাধ্যায়
  • হারানো কবিতাগুলো - রমিতের জানালায়


    আমাদের পাঠকরা এই বিভাগটির প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছেন বারবার। এক নিবিষ্ট খনকের মতো রমিত দে, বাংলা কবিতার বিস্মৃত ও অবহেলিত মণিমুক্তোগুলো ধারাবাহিকভাবে তুলে আনছেন, ও আমাদের গর্বিত করছেন।


    সম্পাদনায় - রমিত দে
  • কবিতা ভাষান


    ভাষা। সে কি কবিতার অন্তরায়, নাকি সহায়? ভাষান্তর। সে কি হয় কবিতার? কবিতা কি ভেসে যায় এক ভাষা থেকে আরেকে? জানতে হলে এই বিভাগটিতে আসতেই হবে আপনাকে।


    সম্পাদনায় - শৌভিক দে সরকার
  • অন্য ভাষার কবিতা


    আমরা বিশ্বাস করি, একটি ভাষার কবিতা সমৃদ্ধ হয় আরেক ভাষার কবিতায়। আমরা বিশ্বাস করি সৎ ও পরিশ্রমী অনুবাদ পারে আমাদের হীনমন্যতা কাটিয়ে আন্তর্জাতিক পরিসরটি সম্পর্কে সজাগ করে দিতে।


    সম্পাদনায় - অর্জুন বন্দ্যোপাধ্যায়
  • এ মাসের কবি


    মাসের ব্যাপারটা অজুহাত মাত্র। তারিখ কোনো বিষয়ই নয় এই বিভাগে। আসলে আমরা আমাদের শ্রদ্ধা ও ভালবাসার কবিকে নিজেদের মনোভাব জানাতে চাই। একটা সংখ্যায় আমরা একজনকে একটু সিংহাসনে বসাতে চাই। আশা করি, কেউ কিছু মনে করবেন না।


    সম্পাদনায় - নীলাব্জ চক্রবর্তী
  • পাঠম্যানিয়ার পেরিস্কোপ


    সমালোচনা সাহিত্য এখন স্তুতি আর নিন্দার আখড়ায় পর্যবসিত। গোষ্ঠীবদ্ধতার চরমতম রূপ সেখানে চোখে পড়ে। গ্রন্থসমালোচনার এই বিভাগটিতে আমরা একটু সততার আশ্বাস পেতে চাই, পেতে চাই খোলা হাওয়ার আমেজ।


    সম্পাদনায় - সব্যসাচী হাজরা
  • দৃশ্যত


    ছবি আর কবিতার ভেদ কি মুছে ফেলতে চান, পাঠক? কিন্তু কেন? ওরা তো আলাদা হয়েই বেশ আছে। কবি কিছু নিচ্ছেন ক্যানভাস থেকে, শিল্পী কিছু নিচ্ছেন অক্ষরমালা থেকে। চক্ষুকর্ণের এই বিনিময়, আহা, শাশ্বত হোক।


    সম্পাদনায় - অমিত বিশ্বাস

Friday, November 20, 2015

সম্পাদকীয়



সারা পৃথিবী জুড়ে সন্ত্রাস চলছে ধর্ম একটা অছিলা সেই ক্রুসেডের সময় থেকেই যিশু বলেছিলেন তিনি শান্তি দিতে আসেননি, হাতে তরবারি নিয়ে এসেছেন, তাঁর কথাটা খুব কম লোক বুঝেছে মহম্মদের তো হাতেই ছিল তরবারি, অনেকে তাঁকে কল্কি অবতার মনে করেন, একজন মুসলমান আমাকে জানিয়েছিলেন কিন্তু মহম্মদের যুদ্ধটা খুব কম লোক বুঝেছে হ্যাঁ, শ্রীকৃষ্ণও একজন দুর্দ্ধর্ষ অপরাজেয় যোদ্ধাই তো ছিলেন কিন্তু সেগুলো কোন যুদ্ধ ছিল? সাধারণ মানুষের রক্ত ঝরানোর যুদ্ধে, নাকি পৃথিবীকে প্রতাপ আর অত্যাচার থেকে ত্রাণ দেওয়ার যুদ্ধ? কিছু যুদ্ধ শান্তির চেয়ে মূল্যবান কিছু যুদ্ধ শান্তি নামক কয়েনের বিপরীত পিঠ


কিন্তু ঘটনা হল, আমাদের বুদ্ধিজীবীরা অবস্থান খুঁজে পাচ্ছেন না আমাদের এখানে ধর্মনিরপেক্ষতার উদাহরণ হল, তুমি যদি হিন্দু হও গরু খেয়ে নিজের সহিষ্ণুতা দ্যাখাও, তুমি যদি মুসলিম হও, হিন্দুদের একটু সহ্য করে নিতে শেখো, আর আমাদের ভোট দিতে ভুলোনা এর বেশি কিছু আশা করা হয়না বুদ্ধিজীবীদের আচরণও ওটুকুই এর মধ্যে একটা বারুদের স্তুপ দিনে দিনে উঁচু হচ্ছে


এমনিতেই এই দেশটা ধর্মের ভিত্তিতে চলে না, কোনোকালেই চলেনি, ধর্মকে এখানে রাজনীতি বারবার শুধু ব্যবহার করে নিতে চেয়েছে এখানে নাস্তিক গৌতম বুদ্ধ হিন্দুদের নবম অবতার হয়ে গেছেন, মহাদেবের মুখ আর গৌতম বুদ্ধের মুখের অবয়ব একাকার হয়ে গেছে পেগান গ্রীক শিল্প এসে আমাদের ভাস্কর্যে মিশে গেছে আকবর দীন--ইলাহী প্রবর্তন করতে চেয়েছিলেন, তাঁর প্রধানা মহিষী ছিলেন এক রাজপুত, এবং তিনি নিজের ধর্ম মোগল অন্তঃপুরেও অক্ষুণ্ন রেখেছিলেন এই দেশটা মিশে যাওয়ার দেশ চন্ডাশোকের ধর্মাশোকে মেটামরফোসিসের দেশ পানিতে যাদের জলপিপাসা মেটে না, জলে যাদের পানির তৃষ্ণা মেটেনা, এ তাঁদের মাটিই নয়


হাজার হাজার বছরেও হিন্দু ধর্মের কোনো ম্যানুয়াল, কোনো ম্যানিফেস্টো নেই যেটা সবাইকে মেনে চলতে হবে যে যার মতো করে হিন্দুধর্মকে ব্যাখ্যা করে, কেউ ঈশ্বরকে মানে, কেউ মানে না, কোনো বাধা থাকার কথাই নয় নিরীশ্বরবাদও যে একটা ধর্মের শাখা হতে পারে, আমাদের দেশ দেখিয়ে দিয়েছে কেউ অপব্যবহার করে কিন্তু আসল হিন্দু ধর্মটা গড়ে উঠেছিল বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির সঙ্গে সম্পর্ক, বিশ্বব্রহ্মান্ডকে বোঝার চেষ্টা, উপনিষদ নামক দর্শন, রামায়ণ-মহাভারত নামক ঐতিহাসিক কাব্যোপন্যাস, গীতা নামক বেঁচে থাকার শিল্পকলা, এবং ভাস্কর্য-চিত্রকলা-স্থাপত্যকে ভিত্তি করে এই একমাত্র দেশ, যেখানে সাহিত্যের চরিত্ররা হাজার-হাজার বছর দেবতা হিসেবে পূজিত হন শুধু রাম নন, রাবণের পুজোও হয় দুর্যোধনের মন্দির আছে কাশ্মীরে শকুনির মন্দির আছে আমার সাধ্য থাকলে কর্ণের একটি মন্দির নির্মাণ করতাম কর্ণ আমার জীবনদেবতা



ধীরে ধীরে হাজার-হাজার বছর কেটেছে, আমাদের সভ্যতা গেঁজিয়ে গেছে, হিন্দুধর্মের আচারসর্বস্বতাটুকুই তলানি হয়ে পড়ে থেকেছে হিন্দুরা সেটা পেয়েছেন, তাঁদের পছন্দ হচ্ছেনা, নিজেদের আনস্মার্ট মনে হচ্ছে হিন্দু হিসেবে এরমধ্যে সারা পৃথিবীর সন্ত্রাস আমাদের কনফিউজড বুদ্ধিজীবীরা বুঝতে পারছেন না মোক্ষম কী বলা যায় তাঁদের প্রোফাইল পিকে লেগে গেছে ফ্রান্সের জাতীয় পতাকার রং আমরা প্রোফাইল পিক কালো করে দিয়ে, বা রং বদলে ভাবি পৃথিবী বদলে দেব, এ আমাদের নিষ্পাপ স্বপ্ন হয়ত ঠিক আছে


কিন্তু আমাদের দেশে একটা বারুদের স্তুপ উঁচু হচ্ছে যারা সেটাকে ব্যবহার করার কথা ভাবছেন, তাঁরা কেউ গীতা পড়েন কি? কোরান পড়েন কি?


গোমাংস আমি প্রথম খেয়েছিলাম ২০০১ সালে একটি শীতের রাতে হাঁটতে বেরিয়েছিলাম কৌতূহল থেকেই খাওয়া আমার খেতে ভালো লাগেনি হয়ত ঠান্ডা খেয়েছিলাম বলেই ওখানেই ইতি

ব্যক্তিগত চৌহদ্দির বাইরে ভাবা যাক? বৈদিক যুগ থেকে মহাকাব্যের যুগ অবধি গোমাংস হিন্দুদের খাদ্য ছিল আজ নয় কেন? পন্ডিতরা বলবেন আমি মনে করি, সেটার কারন গরুর বৃহত্তর উপযোগিতা, এবং আবহাওয়া হিন্দুর পায়ে গরুর চামড়ার জুতো দিব্যি শোভা পায়, কিন্তু জিভে আজ আর ওঠে না সেটা ধার্মিক যতটা ততটাই সাংস্কৃতিক সিদ্ধান্ত মৌলবাদ নয় সংস্কার, যা থেকে সংস্কৃতি তার বৈশিষ্ট পেয়েছে, কু না সু সেই বিচার পরের কথা গরুর মাংসে বা শূকরের হাড়ে কামড় দিলেই যদি ধর্মনিরপেক্ষতার প্রমাণ দেওয়া যেত, পৃথিবীতে শকুনগুলোই সবচেয়ে ধর্মনিরপেক্ষ খাদ্যাভ্যাস একটা সাংস্কৃতিক ব্যাপার সাংস্কৃতিক চিহ্ন হতে পারে একটি খাবার সেটা জোর করে লোপ করা, এবং জোর করে চাপিয়ে দেওয়া দুটোই সমান অমানবিক এবার কুকুর খেয়ে কি প্রমাণ করবেন আপনি নাগাল্যান্ডকে ভালোবাসেন? আদিবাসীদের সঙ্গে একাত্ম হতে গেলে দাঁড়াশের মাংস তাহলে একটা পথ? বিষয়টা এত সরল হলে আমাদের দেশে ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহটা হত কি?

এসব কিছুই আর কিছু নয়, আমাদের দেশে লোকনীতি আর রাজনীতি ঘুলিয়ে গেছে, সবার আগে ভোটের সত্যটাই বড় হয়ে উঠেছে, আর এমএলএ পদের টিকিট ধর্মনিরপেক্ষতার আগে ভোটারনিরপেক্ষতাটা জরুরী, সম্ভবত এগুলো আগুন নিয়ে খেলা হয়ে যাচ্ছে, যারা ফ্যাসিস্টের মতো পুলিশ ডেকে গোমাংস ভক্ষণ আটকাচ্ছেন, যারা মিডিয়া ডেকে সেটা গিলছেন, উভয়ের পক্ষেই

প্রকাশ্যে মাংস খাওয়াটাও প্রতিবাদের সুস্থ ভঙ্গী নয়, সম্ভবত এবার যদি ফতোয়া আসে রামনবমীতে মৈথুন করা বন্ধ, আপনি কি সেদিন রাস্তায় দাঁড়িয়ে সেটাই করবেন, প্রতিবাদস্বরূপ?

অনুপম মুখোপাধ্যায় 
(পরিচালক বাক্ )

রিপন হালদার
















অসুখ

সুখ থেকে মাত্র এক ট্যাবলেট দূরে, তুমি
একটা হাইফেন, সুচের ইয়ার্কি

এও কি সম্ভব

যেখানে ব্লেড আর চামড়ার ঠিক মাঝখানে
শারদীয়া টাঙানো

তুমি তো তাকেও ছাপিয়ে নিয়েছ জামায়
ওয়ালপেপারে, তাহলে

মা-ডাকের পর যে বেমিশাল ছাই
তার নাম কী

তুমি তো জানো

সাবধান কোনো চালের উত্তর পুরুষ নয়

তবুও সবুজ পর্দা
তোমার অপেক্ষা টাঙিয়ে দুলছে, অথবা

সিঁথি জুড়ে কারো হেঁটে গেছো সোজা
মাইল মাইল...
সাদা ভোর আর কুয়াশা ভাঙতে ভাঙতে...

মনে পড়ছে না তোমার

শুশ্রূষা ছেটাচ্ছে পা, নার্সের
সুচ থেকে লাল বিমূর্ত এক সুতোর লাফ কি
তুমিই, তোমারই

আরোগ্য লিখে রাখছে

অসুখ থেকে মাত্র এক হাসপাতাল দূরে তুমি

প্রতিদিনই সাইকেলের পাশ থেকে যে
সরে সরে যাচ্ছে

বেল অথবা গিয়ারের দাঁত ঘষটানির শব্দে


বিশ্বরূপ দে সরকার




















প্রধানত তোমাকে

যতবার নিমগাছের কায়দায় টেম্পটেড করি
ভালো লাগে ডালপালা জাতীয় ইমোশন
বোধহয় এই দোস্তি কোনোদিন তাকানো ভুলবে না,
হঠাৎ খুলে ফেলা তোমাকে
তোমার শশীকলাগুলিকে
প্রসন্ন শীতগ্রীষ্মকে
মধ্যরাতে ডেকে তুলবে, নানাদাগের বিচ্ছেদ ও বিরাম
পাখি আকাশ মোছার দূরত্ব
এনে বলবে এই হল চাহিদার শিমূল, ন্যাপথলিনের সাদা থোকা

অভ্যেস পেরিয়ে ততক্ষণে সঞ্চারিত এসে গেছে
আমাদের আচরণগুলো মনিটরে সেলাই হচ্ছে
নাভি রঙের নিজস্ব ভালোলাগা তোমার সর্বাঙ্গে
ছিপছিপে এক মরশুম ফুটে উঠল স্ক্রিনে
হালকা অথচ ধারালো সেই তেপান্তর...
                                                                                                                       


আওয়াজ

চকলেট ফুটলে তখন সকাল
একটু দেরিতে হলেও
সর্বস্ব স্নেহ হয়ে মিশে  যাচ্ছে
কিতকিতবয়সী অপূর্বতা
খোলামাঠ পেরিয়ে
নেভিব্লু রঙের বীজ বয়ে আনে
পাখিদের রোলকল

সংসার দিয়ে বানানো একটা অরুণাভা
মা আর ছেলের অধিবেশন
সেমিকোলন ভর্তি দানা দানা আদর
আলাদা রেখেছি আজ
হাসির প্রিন্ট আউট
তিলে তিলে জমে ওঠা চুমু দিয়ে
চকলেট তুলে নিচ্ছে ঠোঁট...



ইন্টারভ্যাল

শেষপর্যন্ত চাঁদের আওয়াজ অতিক্রম করে পিয়ানোর প্রান্তসীমা
বেজে উঠছে ... যেন ফুঁ দিচ্ছে জড়তাকে ... ভাবনাচিন্তার বাদাম
দাঁতের সংস্পর্শে খোসা ছাড়িয়ে নিচ্ছে একটি বিকেলের মোড়...
তারপর তোমার হাসির দিকে ... প্রজাপতি উড়ে যায় এমন সব
লোকগান... আমগাছ... দুপাশে অস্তিত্বের কৌতুকসমেত খেলা...
সেইসব গাঢ় রক্তপাত গড়িয়ে নামলে আমাকে ডেকো না...
দেশকাল, ক্যাম্পফায়ারের স্বপ্নহীন কর্মশালা আমার আসেনা কিছু আর...




রানা বসু

১৪ই মার্চ, ১৯৯৭

হাত ওঠাও।
যেন ঘোড়ার নাল হয়ে যাচ্ছে

যেন।টাওয়ার।
যেভাবে।সুতো।ও ঘুড়ি।

ইনবক্স জ্বলছে।
বাক্সবন্দী না বাঘমন্দির।
খেলা খেলা একটা উঠোন বদমাশের নাম।
দে-দোল।
দোল। দে।


বিদুওলজি

টম।
এন্ড জেরী।
মার্কামারা কিছু ক্যাথোড
অ্যানোডের চামড়াচর্চা
ভিতর থেকে একমুঠো তেজস্ক্রিয়
সারাদিন চেয়ে চেয়ে অন্ধ হয়ে গেল

হার্বার্ট স্পেনসার। গতিশীল ও মন্থর।
এককথায় এসমস্ত
মিউট্যান্ট নামে পরিচিত।



?

?

একজন রাশি।
a b c .. x y z

স্থান পরিবর্তন হয়।
+    -    ×    ÷
#
'='- < > বিস্তৃত জমি
শুনশান \__-এ পড়ে থাকে
সোঁদা গন্ধ শ্মশান
একমাত্র cube-র কথা বলে।


দোসর

একটা সত্যি।

একটা মিথ্যে।

অনেকগুলো হতে গেলে
একা একটা একজন হতে হয়।

একডজন তাহলে
×|
ভিতরের চাপ।
বাইরের চাপ।P

আয়তন। মৌলিক। নয় যৌগিক।
তবু সমীকরণ কারকে
টেনশন্ থাকে।

একা একজন রিষা।
একজন একা চুমকী।

বেড়া।ভেঙেছ না টপকে।
তবুও আলো হাত নেড়ে গেল।।।।।




অগ্নি রায়

এক
ছায়াপথে পালিত গাধারা যথাসাধ্য ডেকে ওঠে। উচ্ছন্নে যাওয়া কান নাড়ায়। তার প্রতিবেশী ক্ষোভের সংকেত মিছিল থেকে ছেঁকে নেওয়ার আপাত নিরীহ প্রয়াসেও আলপিন প্রমাণ শূন্যতা ঘাই মেরে গেল

এক/দুই
ফাঁসে জখমি দেহবৃত্তান্তের সবটুকু পারদ, নিসর্গে বাড়তি হয়ে আছে। আমায় তবুও আরোগ্য তল্লাশে বেরোতে হয়। ফার্মেসির তামাশায় কাঁধ দিই। এক্সপায়ারি ডেটে গর্বিত নীল, বাদামি, সবুজ বোতলগুলোতে সেঁটে যাওয়া পর্যন্ত

এক/তিন
পুরনো পাপোশে চেঁছে দেখা জল আর গর্ত। সেখানেই সিল্কের মত মিহি এক গলবস্ত্র জোছনা থেকে নেমে এসে ভয় দেখায়, দাঁত মেলে। ভালও বাসে

এক/চার
অথচ ছায়ার কাপুরুষ ডেকেই চলেছে ছুটি পর্যন্ত। ওর আকাঙ্খার ভিজে ভিজে মাটিতে লাট খেয়ে আছে বিম্ব। এ হেন এলেম ধরে রাখতে গিয়ে সর্পতে রজ্জুভ্রম হতে থাকে! আমরা এ সব সামান্যর কারণ জানতে চাই তথাগত


প্রভাত চৌধুরী















রান্নাঘর

রান্না করতে করতে যে কবিতাটি লেখা হবে
তার মধ্যে থেকে ভেসে আসবে
জন্মান্তরের কিছু এপিসোড
এখানে মিস্টার এক্সের কোনো ভূমিকা থাকছে না

রান্নাবিষয়ক আলোচনায় কীভাবে মিস্টার এক্স উঠে এলেন
তার সব গোপনতা প্রকাশ করছি না

আমরা রান্নাকে মূলত ক্লোজড শটে দেখতে অভ্যস্ত
এখন ক্লোজডটিকে যদি লঙে নিয়ে যাওয়া যায়
তাহলে লঙ শটে ফিল্ডিং করবে বাবুর্চি
বাবুর্চির মাথার টুপিটি হলুদ রঙের হবে
এই হলুদের সঙ্গে রান্নার কোনো যোগসূত্র নেই
এই হলুদের সঙ্গে ডোনাল্ড ডাকের সম্পর্ক থাকলেও থাকতে পারে


জানিয়ে রাখা ভালো আজকের মেনুতে ডাকরোস্ট নেই, আছে রুইপোস্ত


ধীমান চক্রবর্তী

উপহার

আশ্বিন মাস পরিষ্কার করে চোখ।
শুন্য দেওয়ালে জুতো।
                    ভাঙা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
চেয়ার-টেবলকে নাম ধরে ডাকে গাড়ির হর্ন।
এখানে আমিই
              একমাত্র অভিনেতা।
                                একমাত্র কচ্ছপ।
ব্লটিং কাগজে খোলামেলা আঙুল।
কিছুটা দুঃখ।
          সা-রে-গা গাইছে লোফালুফি।
কাচের চুড়ি পেনড্রাইভে।
মরচে লাগা চাবি। খুলি টিয়াপাখি।
             খুলি চিন্তা ভাবনা। তেরচা রোদ।
দিই পাশের বিছানায় শুয়ে থাকা স্বরবর্ণকে।




সাহচর্য

অজানা ভাষা। কথা বলে অক্টোবর।
নামলো কাঠবেড়ালির সেতু।
                             নীল প্যান্টি।
সামনে হাঁটু মুড়ে বসে বনাঞ্চল। ভালোবাসা।
                                      বাদামি রুটি।
                              বহন করছি শেষ দেখা।
এফিডেবিট হল জলবিভাজিকা।
                   রক্তমাখা বটি।
                             কাঁটাচামচ দিয়ে
জড়ো করেছিলে সবুজ প্লেটে স্বপ্ন।
খুলে যায় সন্ধ্যালাগা সারসের সাত-সতেরো।
তুমি পরম মমতায়
                   জিভে বুনে দাও
স্বস্তিকা। থুতু দিয়ে জোড়া চিঠি।


বর্জন

ভালোবাসা ট্যাটু মোছে শরীরের।
                             হরিষ দস্তাবেজ।
                                                            ক্ষতি ও ক্ষতিয়ান।
নামলো জলে।
কয়েকটি ড্রোন উড়তে উড়তে
                   মানুষের মগজ খাচ্ছে।
                             রূপোলি রেখাগুলিও।
মিথ্যা তোমায় খায় অনেকটা।
গুঁড়ো সাবান হয়তো কাজে লাগবে।
                             কয়েক শব্দ আখতারি বাঈ।
দুঃখী ডাকবাক্স।
খোলামকুচি জীবন নিয়ে তার হাতছানি।
                                সময় পুড়িয়ে তাকে
                                       বিসর্গ ও আলো দিই। 



প্রণব পাল

ভাষাবদলের মন্দাক্রান্তা ১৯

একপেগ রাত্রির   আমিও মুসাফির  টলছে পায় পায় অন্ধকার
ছলকায় শ্যাম্পেন            নেশাড়ু কালিপেন            তুলছে ফুলস্কেপ ধুন্ধুমার
ব্রাশমিক রোদচুর সীমানা ভেঙে দূর            খুঁজছে একলার নষ্টতাস
লালনীল সিগন্যাল           ছাড়িয়ে আমিয়াল            দরজা খুলতেই সব কোরাস
চারদিক নিউজিক            আঁধারে মিউজিক            উঠছে রংতাস ধিনতেরাস
দুই চোখ উন্মাদ  একেলা ছাদে চাঁদ           জ্বলছে রাতভর ফসফরাস
একরিম চাঁদবার  পেরিয়ে ছুটিতার নৃত্যে ইস্কুল চাঁদটোলায়
ইচ্ছের পথভুল    ধরেছে যে বাউল তার কী চিন্তার পথ ভোলায়




ভাষাবদলের মন্দাক্রান্তা ২০

খুল যায় সিমসিম দুচোখে ড্রিমিঝিম            খেলছে শূন্যীল এই হাতেই
ফ্যান্টাসটিকবাদ ধরেছে এয়োচাঁদ ন্যাংটো রাস্তার ফুটপাতেই
ইচ্ছের উল্লাস      নাচায় মহাকাশ   তুচ্ছ হারজিত চায় কে আর
একলার ছাদময়  দাঁড়িয়ে এসময়   দেখছে শূন্যের স্টার ফেয়ার
উন্মাদ আজ ফের             জানালাইজিমের  পাল্লা খুলতেই রং দেদার
রংছের সরগম     গানালো মনিয়ম  চিক্যে ঝলমল অন্ধকার
শূন্যের কোন গান            ডেকেছে অফুরাণ             ফ্রেসকোপ্রিন্টেড চাঁদতারায়
ফ্যানটাসটিকিজম            এলো ও মেলোরিম          আঁকছে স্বপ্নের রেস্তোঁরায়






            

কাজল সেন

ঝুরোকবিতা সিরিজ

(৪৩)

কাঁচুলিতে লাগল টান রূপবতী বউ আমার                                         
হাতে হাতসাফাই পায়ে পায়াভারী
নতুন জল টপকাতেই বেজে উঠল সানাই
এখন একটা মন্ত্র একটানা গুনগুন একটানা
যার যেমন সম্বল তার তেমন আলিশান
কুবোপাখি বলে গেল আশ্বিনের কুবলয়ের কথা
উত্তরের শীতে এবার নামবেই নামবে
শীতবুড়ির আদরের নৌকাবিহার

(৪)

জলাধারের গা ছুঁয়েই পানের বরজ
কুসুম সন্ধ্যায় এখানেই গান গেয়েছিল সন্ধ্যাতারা
সতরঞ্চির দোহাই তোমাকে আর দেওয়া গেল না সাধের আসন
রূপকথার বুড়ো বেহালা বাজায় মঙ্গলের দাওয়ায়
এ কেমন রূপের বাহার আহা মরি মরি সুমিতাসুন্দরী
ধান ভানতে বসে নিবিড় চাষের আখ্যান
অথচ দেখা তো হলো না আর
দেখা কি হবে আর

অনসূয়ার উপাখ্যান 

বিজয় দে

আলু

কিন্তু আলু না খেয়ে আমি তো বাঁচতে পারবো না, রমা...

গোপন কথোপকথন
দৃশ্য সবশেষে সাদাকালো সুচিত্রা-উত্তম
কারও কোনো অসুবিধা হয় না

তখন আকাশজুড়ে মেঘ; বৃষ্টি হবে হবে
হাওয়া বইছিলো

আমি কিন্তু শুনেছি, আপনি সুচিত্রাকে কথাটা বলে ফেলেছেন

আর আমি তখন নিশ্চিতভাবে মায়ের পেটে; অবশ্য
খুবই তক্কে তক্কে ছিলাম; তাই বোধহয় চোখ বুজেই
কথাটা শুনতে পেয়েছি

তারপর কত আলোকবর্ষ। তারপর কত যে হর্ষধ্বনি

তারপর কত কুমার কত উত্তমের পাতে আলু না-দেখতে দেখতে
সেনবংশের কত বনলতা কত সুচিত্রা
মরে ভূত হয়ে গেল



চাঁদের বিছানা


আমি গৌনমানুষ। সে যৌনচেতনা
অক্ষর আর কতদিন মৌনব্রত পালন করবে

হু হু করে কাঁপছে
প্রাপ্তবয়স্ক শরীর-প্রতিযোগিতা

মুখে-মুখে জ্বর; চাঁদের রান্নাঘর
পুরস্কার সরু বেগুন; তারপর তেলঝালহলুদ

এবং যথারীতি নুন;
সঙ্গে পোস্তবাটা বা সর্ষে

মনে পড়ে যাবে, হে চাঁদ, রান্নাঘরে মনে পড়বেই
তোমার বিছানা এখনও ভারতবর্ষেই