Friday, November 20, 2015
রূপক
মানুষ
গায়ে
গা লাগিয়ে চলে যাচ্ছে দিন
দিনকে
বলি না কিছু
সব
মৃত ঘোড়াগুলি রাতেই স্বাধীন
সব
প্রাণ ফিরে এলে
আরও
এক অসামাজিক রাষ্ট্র তৈরি হয়
ইতিহাস
জানে না সেকথা
রাষ্ট্র বিজ্ঞানে শুধু দ্বিধা
অনুমান
কথা কয়ে যায়
সন্তান
সম্ভাবা সব আদিম প্রহেলিকা
দূর
অন্ধকারে জ্বালে আগুনের শিখা
মেঘ
ডাকে দ্রৌপদীর ঘরে
পঞ্চতিরে
কাঁপে পাঞ্চালিকা
সন্ধ্যার
আড়ষ্ট গান বর্ষার ঠোঁটে
ময়ূর
ময়ূরী খায় নিঃশব্দে চেটে
বৃষ্টি
ফোঁটা গায়ে মেখে ৠতুমতী গাছ
সঙ্গম
সেরে নিচ্ছে কুরুক্ষেত্র মাঠে
নীল
ঊরুর দিন এই ফাঁকে ফ্রক খুলে হাসে
বিষন্নকাল
কান্না মোছে মনমাটির ঘাসে
তবু
এক গ্রাম্য ঢেঁকি ভেনে চলে অলৌকিক ধান
কৌশল্যা
একাকী শোনে বিরহী ঘুঘুর গান
আমরা
দুপুর চিনি, আর চিনি দুপুরের লোক
নির্বোধ
পাড়ায় হাঁটে সুবোধ শোলোক
দ্বার
বন্ধ হাহাকার ঘামগন্ধ আসে তার
পাড়ায়
পাড়ায় ছোটে নষ্ট খবর
তখন
বিকেল যায়, আকাঙ্ক্ষার গায়ে জ্বর
আত্মবিশ্বাস
মৃত্যুগন্ধে ভরে দেয় সংসার
হাঁটু
অবধি গামছা পরা, হলুদ পা, রক্তহীন
গুলিবিদ্ধ
শরীর দেখায়, মৃত সব ঘোড়সওয়ার
রাষ্ট্র
আইন কোথায় কারা, দিশেহারা সভ্যতায়
অস্থিহীন
বস্তিতে নিদেন ঝুপড়ি অগ্নিলীলায়
শহর
ঘুরে একই সুরে হর্ন বাজায় ভ্রমের গাড়ি
গাড়ি
চড়ে আসে রাত, কী সুন্দর শুভ্র শাড়ি
তাঁর
দাঁতে দাঁত, লুকোনো দংশক
মধুর
কথা স্বপ্ন মেদুর উড়ছে বহুদূর
সব
ভস্মেই ওড়ে ছল - চতুর
সব
সুখে লেখা অসুখের গুঞ্জন
তবু
মৌচাক খুলে খুলে মধু দেয়
মৃত্যু
ঠেলে নৌকার হাসি চাঁদ একা তুলে নেয়
জোর
কদম, কিন্তু পা কই ?
হাতের
আঙুলে কুষ্ঠ,
কল্পনার সিঁড়ি
বাতাসের
মই
এখনও
বয়ে ফিরি
দাঁড়াও কালের সড়ক,
শব্দ
দিয়ে তৈরি করা আমার সরণি
তোমরা
দ্যাখোনি
পথের
দুপাশে শুধুই মড়ক
লেজ
দুলিয়ে কে যায় বচন ?
শুনব
না আর মনভুলানো পাড়াজুড়ানো
খাজনা
দেওয়ার বাণী
ছড়াগুলি
কুলোর বাতাস শিশুর সিম্ফনি
দুয়ার
যারা খুলছে দুয়ারবিহীন ঘরে
হৃদয়
তারাই দেখাচ্ছে হৃদয়হীন শরীরে
তাদের
কাছেই ঘোড়াগুলি বাঁধা
আমরা
সব পদলেখা জীব চণ্ডীদাসের রাধা
একটু
ধীরে বাঁশি বাজাই, জোরে বাজানো মানা
রাজার
দেশে ভোটনহবৎ, সন্ত্রাসের হানা
আমরা
সবাই চোখের জলে সাঁতার কাটা মাছ
যখন
ইচ্ছে বধ্ করে খায় রাজনৈতিক সমাজ
দেখতে
দেখতে সুবর্ণ দিন পেরিয়ে চলে যায়
দিনের
শেষে একমুঠো চাল যদিও ভাত হয়
ভাতের
গল্প থাক না হয়
ঘর
নেই কো, দুয়ার নেই কো, ঘোড়া তবু
চেয়ে
থাকে জানালায়
মেঘ
ওঠে খুব, লাল ঈশানে, ঝড় ওঠে তো উঠুক
অপ্রাকৃত
বোধের সাথে খড়কুটো সব উড়ুক
উড়তে
উড়তে এসংগ্রামে লিখুক পরাজয়
জয়-পরাজয়
মিথ্যে সবই, মনে মনে যদিও সব বাসর সাজাই
টক
ফলের স্বর্গরাজ্যে ব্যাঘ্র করে বাস
নেহাৎ
নিরীহ আমরা তাই খেতে থাকি ঘাস
ঘাস
ফুরোলে পাড়া জুড়োলে উপোস দেওয়া রীতি
রীতির
ভেতর বাল্যকাল ঘুমিয়ে থাকে স্মৃতি
ইতিহাস
চেঁচিয়ে ডাকে, জন্ম তবু জন্মান্তরে যায়
হয়তো
সে এক কাঠুরে, বনে সোনার কুড়ুল পায়
রূপকথায়
আর সততায় ধর্ম এসে নামে
কে
যে কাকে চিঠি পাঠায় সাদা মেঘের খামে!
কমলবরণ
শোভায় ফোটে রাতের তারাগুলি
তারার
ভেতর লুকিয়ে রাখি হারানো ডাংগুলি
কখন
যে আবার খেলা হবে ভাবে আগুনশিশু
বুকের
ভেতর গোপন থাকে রক্তঝরা যিশু
ঘোড়ার
মুখে ফুটে ওঠে মনুষ্যচরিত
আয়নাওয়ালা
আয়না দেখায় একান্ত নিভৃত
লাল
আলো, নীল আলো অজস্র সংকেতে
হুইসল
আর কলিংবেলে বাজতে থাকে রাতে
চেনা
যায় না কে কোন্ দ্বীপ, কে কোন্ স্বরলিপি
নির্বাসিত
হতে হতে ইশকাপনের বিবি
গোলাম
রাজা সবাই থাকে, থাকতে থাকতে চোর
সুযোগ
পেলেই দাঁও মারে সব এমন হারামখোর
ঝড়
সামলে নতুন জামায় মুগ্ধ বিচক্ষণ
গতানুগতিক
পথেই হাওয়া খাচ্ছি সারাক্ষণ
সবাই
বোঝে, আমরাও তাই জবাই হওয়া জীব
মিথ্যা
ভণ্ড দরবারে আজ খুঁজছি সত্যশিব
সব
উদ্ভাবনের ভেতর থেকে জলীয় ঘুম ভাঙে
দ্বিধাদ্বন্দ্ব
কুয়াশাতে আকাশও শিং নাড়ে
ঘোড়াগুলো
মহিষ হয়ে খোলস ছাড়ার ঢঙে
অন্ধকারে
অন্ধ হয়ে চতুর্দিকে বাড়ে
নেহাৎ
একটা জ্বর লিখে রোজ শান্ত স্বভাব ছায়া
দুর্বোধ্যরা
ধরে নিচ্ছে এই মনুষ্যকায়া
একে
সবাই লোকভাষাতে কহে দিনের লোক
লোকারণ্যে
এদেরই দ্বারোদ্ঘাটন হোক।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment