যখন ছিলে না আমি বালিয়াড়ি পেরিয়ে
দেখেছি
অনন্ত হাঁটার এক সম্পর্ক তৈরি হল
সমুদ্রের ধারে
আপনার বালক বিস্ময়
হাওয়াই চটির সঙ্গে ছপছপ শব্দ তুলে গেল
একটি নুনের কণা ঘি্রে নিয়ে বড় হলো
নুনের গোলক
অর্ধেক চাঁদ দিল আবড়াল আর
ঝোপে ঝোপে ঘুম চোখ টেনে টেনে দেখছিল
তারা
কাঁকড়ারা উদাসীন প্রশ্রয় দিলো
যে ঝিনুক তুলে নিয়ে কিসব দেখিয়েছেন
গাণিতিক জ্যামিতিক রঙ
সে ঝিনুক আমাদের হাওয়াময় সংসারে
একটা টবের পাশে রাখা থাকে তেরছা আলোয়
বুন্দ বুন্দ জল পড়া আদরের অর্কিড
জানলায় আর
একফালি উদাসীন রসুইয়ে ঝিলমিল কাঁচের
বয়েম পড়ে থাকে
২৪
মে ২০১৫
প্রত্নতত্ত্ব
আমরা তো কোনদিনও ফসিল হব না
এই দুঃখ উড়ে যাবে একমুঠো ছাই হয়ে
বিকেল বেলায়
হাজার বছর পর হাঁড়িকুড়ি পর্যটনে নবীন
মানুষ
ইস্পাত ব্যবহার বুঝে নেবে
আজকের বৃষ্টির রাত -
কেমন মথিত হল বুঝে নেবে?
বৈদ্যুতিন সিডি নিরীক্ষণে?
ছোট্ট এক ভাণ্ডারে শিশুর পয়সা ছিল
নানান দেশের
মুদ্রা থেকে যাবে তাতে,
কি জানি সে স্বপ্নটুকু থেকে যাবে কিনা!
বহুতল সন্ধের মেঘেরা
ফ্ল্যাটটা উঠে দাঁড়াতেই
একটা লোক অতর্কিতে এসে
মুখ ভেটকে চলে গেল সন্ধের গভীর মত
দিকে
ও বোধ হয় জ্বরে পড়েছিল তাই কদিন আসে
নি
ও বোধ হয় কেটে যাওয়া গাছের ছায়ার কাছে
বিশ্রাম চাইতো
আমি রোজ অন্ধকারে আসি
আমার অন্ধকারে পাড়াখানা সহ্যমতো লাগে
পাড়াখানা অন্যমতো লাগে
অন্ধকার পর্দা ফেলে দিলে
আমার ব্লাউজ খুলে চিন্তাগুলো মাই খেতে
পারে
গাছের ছায়াটা গেছে,
ল্যাম্পপোস্ট অসহায় ভাবে রয়ে গেছে,
আলো আঁধারিতে আর কোনকিছু লেখা যাচ্ছে
না
যে লোকটা মুখ ভেটকে গেল আমি তার পিছু
ছায়ায় ছায়ায়
মাথা নিচু হেঁটে যেতে থাকি
যেন প্রেম পায়,
যেন প্রেম প্রেম পায়
মায়োপিয়া-টুকু
আমি ঠিকমত লাফাতে পারছি না
ফিরে ফিরে আসছি খাদের গা ঘেঁষে
শুনেছি ঠিক মত লাফালে তুমি ধরে ফেলো
কিন্তু সে কথা কেউ দেখে নি চারদিকে
তাই ঘাসটুকু ,
নয়নতারা গাছটুকু আটকে দিচ্ছে
এখন মায়োপিয়াটুকু ফেরত দাও
পৌঁছে দাও ফের
হাঁটি হাঁটি পা-পা পৃথিবীতে
যশোধরা রায়চৌধুরীদির ছায়াশরীরিণী
পড়ে পাঠপ্রতিক্রিয়া
একখানা সাপ আর এক বোতল কার্বলিক এসিড
দুখাপিতে রেখে বসে আছি
ওঝা বললে কবিতাতে সোঁদা সোঁদা গন্ধ উঠতো ঠিক
তা কিছু সময়োচিত, সক্কলে শিখে নিতে পারে
অনেক "বেশ্যা" ঠিক আমাদের মতো রোগহীন ঝকঝকে
ঠোঁটের দিকটা খুব মন দিয়ে দেখলে বরং
বোঝা যাবে সেটা তোমরা নিরলস মন্থনে বাঁকিয়ে দিয়েছো
একখানা সাপ আর এক বোতল কার্বলিক এসিড
দুখাপিতে রেখে বসে আছি
কিছু ক্ষণস্থায়ী কিছু আভা আভা রূপটানে দুচোখ মায়াবী হয়ে এলো
আমার গাড়ির চাকা অকস্মাৎ বসে গেল, কৃষ্ণ
পদভারে
আমি আর কায়নাৎ ষড়যন্ত্র করে তার গাড়ি চড়ে বসি
(ঘাড়ে চড়ে বসি?)
তারপরে মাঝে মধ্যে অভ্যেসে এমনি এমনি
দিন যায়, দিন বয়ে যায়, দিন
গলে গলে যায় ইশারায়
পশমিনা প্রেম যায় সরে সরে আংটি ফাঁকি দিয়ে
একখানা সাপ আর এক বোতল কার্বলিক এসিড
দুখাপিতে রেখে বসে আছি
বিপদ দেখলে আমি সোজা সরে যাব
সব সন্ধের হাতলেই রুমালের সৌজন্যে আঙ্গুলের চিহ্ন মুছে গেছে
ট্রিগার দাবালো কিনা, দিগন্তের লালে লাল তোমার
মাথায়
জমাট বাঁধালো কিনা সাক্ষী নেই , কোন সাক্ষী
নেই
কিন্তু জানো ভালোবাসতে চেয়ে,
আমি দেখেছিনু
বালুকাবেলায় লিখে রেখেছিনু,
ভালোবাসতে চেয়ে
ষড়যন্ত্র দুদিকেই
ষড়যন্ত্র দুদিকে টেবিলে
0 comments:
Post a Comment